মাদ্রাসা

বাংলাদেশের সেরা কওমি মাদ্রাসা

আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমরা ও ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। প্রিয় ভিউয়ার্স আপনাদেরকে আমাদের পেজে স্বাগতম। আজ আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে এসেছি বাংলাদেশের সেরা কওমি মাদ্রাসা এই সম্পর্কে। আমরা যারা মুসলমান আছি তারা অনেকেই পছন্দ করি ছেলে-মেয়েকে মাদ্রাসাতে পড়াতে। ছোট থেকেই যেন আল্লাহ পাকের দেওয়া কিতাব সমূহ পড়তে পারে।

যখন আমাদের ঘরে ছেলে অথবা মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ার জন্য উপযুক্ত হয় তখন থেকেই আমরা খুঁজতে থাকি কোন মাদ্রাসাটি ভালো হবে পড়ার জন্য।আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পদ্ধতিতে খোঁজখবর নিতে থাকে মাদ্রাসাগুলো সম্পর্কে। মাদরাসার বিভিন্ন ভাগ আছে স্তরে স্তরে। কওমি মাদরাসা,আলিয়া মাদ্রাসা ,নূরানী মাদ্রাসা ,হাফেজিয়া মাদ্রাসা এভাবে বিভিন্ন স্তরে মাদ্রাসাগুলো বিভক্ত।

আর আজ আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে এসেছি কওমি মাদ্রাসা সম্পর্কে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৪ হাজারেরও বেশি কওমি মাদ্রাসা আছে। আর বাংলাদেশ সরকারি কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।কাওমি মাদ্রাসার পর আর কাঠামো অনেকেই পছন্দ করে এজন্য তারা খুঁজতে থাকে কওমির কোন মাদ্রাসাটি ভালো হবে তার বাচ্চার জন্য।বিশেষ করে তাদের জন্যই আমাদের এই পোস্টটি তাই আমাদের সঙ্গেই থাকুন আর দেখতে থাকুন।

বাংলাদেশের সেরা কওমি মাদ্রাসা তালিকাগুলো নিম্নে প্রদান করা হলো:

১/ আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা :

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রসিদ্ধ ও কওমি মাদ্রাসা এটা। যার সুনাম ও সুখ্যাতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে ও চলে গেছে। ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইসলামিক জামিয়া এই মাদ্রাসাটি।অস্থায়ীভাবে ১৮৯৬ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় পরবর্তীতে ১৯০১ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বন্দরনগর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়। হাটহাজারী মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে বহু মাদ্রাসা মসজিদ তৈরি হয়েছে।

২/ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসা :

স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৬৯ সালে প্রথম দিকের কথা। তখন অস্বীকার ও কুশিক্ষায় মুসলিম সন্তানের দশা বেহাল অবস্থা ।আর সেটা দেখে জনাব রহমান আলী শেখ অস্থির হয়ে পড়লেন। তাদের প্রকৃত শিক্ষায় গড়ে তোলার জন্য তিনি নিজের দিকে নিজের জায়গায় এই মাদ্রাসাটি নির্মাণ করেন। তার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল কুদ্দুস সাহেব।

৩/ জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ কওমি মাদ্রাসা :

জামিয়া ইসলামিয়া বড় মসজিদ এ দুটি মিলে একটি ওয়ার্ক অফ টেস্ট যার নাম হল হাজী ইব্রাহীম আলী ও হাজী আব্দুল আলী ওয়াকা টেস্ট। এই নাম দুটি খুবই স্মরণীয় এই মাদ্রাসার জন্য। তারা তাদের জীবনের একটি মহানুভাবতার কাজ করে গেছেন। জীবনে তারা মরে গিয়েও অমর হয়ে আছেন তাদের এই কৃতিত্বের জন্য। একটি ভালো কাজ মানুষকে সারা জীবন মনে রাখে।

৪/ জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা :

রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম এলাকার মোহাম্মদপুরের ঐতিহাসিক সাতমসজিদকে বুকে জড়িয়ে বিশাল দেহ বল্লারি নিয়ে দণ্ডায়মান ঐতিহ্যবাহী জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা।মাদ্রাসাটি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া।দুই বছর অস্থায়ীভাবে পরিচালিত হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে ঐতিহাসিকভাবে সাতমসজিদ সংলগ্ন ও নিজস্ব জায়গায় রহমানিয়া আরাবিয়া নামে পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠিত কার্যক্রম শুরু হয়।

৫/ জামিয়া কওমি মাদ্রাসা :

হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদুল্লাহ হাফেজি হুজুর রহমাতুল্লাহ বর্তমান বিশ্ব ইতিহাসে এক সুপরিচিত ব্যক্তি। তার মোবারক হতে ১৪৮৪ হিজরি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত লাভ করে এই মাদ্রাসাটি। দ্বীন শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে স্তরে স্তরে চালু আছে মাদ্রাসায়। ১ নভেম্বর ১১৯৮ ইংরেজি ইসলামিয়া করা হয়েছিল। দেশের দ্বীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় এই মাদ্রাসাটি।

৬/জামিয়া শারইয়্যাহ কওমি মাদ্রাসা :

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বের কথা রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও থানাধীন মালিবাগ এলাকার বিশিষ্ট দানবীর এক বিঘা চার কাঠা জমিতে এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসাটি ১৯৫৬ সালে একটি নামাজের ঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় পরে কিছুদিন পর যা একটি মাদ্রাসায় রূপান্তরিত হয়। সেই মসজিদের অধীনে এবং দারুল উলুম জামিয়া শারইয়্যাহ কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮২ সালে দাওরায়ে হাদিসের সূচনা হয়।

৭/ জামেয়া দারুল মা ‘আরিফ আল -ইসলামিয়া চট্টগ্রাম কওমি মাদ্রাসা :

আল্লামা মোঃ সুলতান আদাবিলারাবিও কিসমুদাওরত  আল ইসলামিয়া খোলা হয়।১৪১১ থেকে ১২ হিজরী হতে দাওরাত হাদিস এবং পরবর্তী বছর হতে জামেয়া সমাপনী বর্ষ চালু করা হয়। বর্তমানে দুই বছর মেয়াদে ইফতা চালু আছে এই মাদ্রাসাটিতে। এ মাদ্রাসাটি কোলাহাল মুক্ত একটি নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। মাদ্রাসার পড়ালেখার কাঠামো খুবই ভালো।

৮/ ইসলামী রিসার্চ সেন্টার কওমি মাদ্রাসা :

রাজধানী ঢাকার অন্যতম আভিজাত এলাকার গুলশান বারিধারা সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বসুন্ধরা আদর্শ আবাসিক প্রকল্পের মনোরম পরিবেশে অবস্থিত মাকরাজুল ফিকরি ইসলামিক কওমি মাদ্রাসা।উন্নত সমাজ সেবা রেখও অন্যান্য ব্যতিক্রম ধর্মের দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এই মাদ্রাসা টি উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ জামিয়া ও কওমি মাদ্রাসাতে দাওরায়ে হাদিসে প্রথম বিভাগ অর্জন করেছে।

৯/ জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফারিদাবাদ কওমি মাদ্রাসা :

১৩৭৫ হিজরী মোতাবেক ১৯৫৬ সালে শামসুল হক ফরিদপুরী মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।  হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহজিরে মুক্কীর নামে মাদ্রাসা নির্মাণ হয়। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রথম মুরুব্বী হল মোতাওয়াল্লী ছিলেন তিনি নিজেই। কার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে মাদ্রাসারটির অবস্থান।

সর্বোপরিশেষে বলতে চাই এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমরা তো কেউ চেষ্টা করছি আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশের সেরা কওমি মাদ্রাসাগুলো। জানিনা আমাদের দেওয়া তথ্যটি আপনাদের কেমন লাগছে ।তবে আশা করছি, আমাদের দেওয়া তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। ভালো
থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *