স্বাস্থ্য

বাচ্চা রাতে না ঘুমালে করনীয়

আসসালামুয়ালাইকুম বাচ্চা রাতে ঘুমের জন্য মায়ের যে কাজগুলো করতে হবে বুঝতে হবে আমার বাচ্চা কি বলতে চাচ্ছে। এক্ষেত্রে যারা নতুন মা এদের জন্য একটু সমস্যায় পড়তে হয়। বাচ্চার ঘুমের একটি প্যাটার্ন থাকে কিছুকিছু বাচ্চা দিনে ঘুমায় আর রাত হলে জেগে থাকে। আবার দেখা যায় কিছু কিছু বাচ্চা রাতে বেশি ঘুমায় সারাদিন ঘুমাই না।

এক একটি বাচ্চার প্যাটার্ন এক এক রকম কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশু রাত জাগা পছন্দ করে এতে করে শিশুর মায়ের ঘুম কম হয়।মা চাইলেও ঘুমাতে পারা না শিশুটির সাথে রাত জাগতে হয়। এর ফলে মায়ের শরীরের ক্ষতি হয় তার সাথে শিশুর শরীরের ও ক্ষতি হতে পারে।শিশুটির রাতে না ঘুমানোর অনেক কারণ থাকতে পারে অনেক সময় আছে শিশুটি দুধ পান করার জন্য রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে।শিশুর মুখে নতুন দাঁত উঠছে এতে করে শিশুর গালের ভিতরে ব্যথা লাগতে পারে এজন্য শরীরে অস্থিরতা লাগে শিশুর ঘুম নাও আসতে পারে।

আবার অনেক ক্ষেত্রে শিশুটি তার মায়ের স্পর্শে ঘুমাতে চায় মা যদি শিশুটিকে একটু দূরত্ব বজায় রেখে রাখে সে ক্ষেত্রে শিশু মায়ের স্পর্শ না পেলে জেগে উঠতে পারে শিশু চায় মায়েরে স্পর্শে থাকতে। গরম ঋতুতে অনেক সময় শিশুর শরীরের তাপমাত্রা গরম লাগার ফলে রাত জেগে থাকে। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে গল্পটাকে বেশি অনুভব করতে পারে। এজন্য গরমে জেগে থেকে অস্থিরতা করে।

শিশুর বয়সের সাথে রাতে ঘুমানোর ধরন:

জন্মের পর থেকে সাধারণত জিরো থেকে তিন মাস পর্যন্ত সাধারণত শিশু ঘুমায়। এরপর যখন শিশু ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে তখন থেকে একটু একটু করে ঘুম কমে যায়। শিশু যখন স্বল্প সময়ের জন্য ঘুমের সময় কাটায় আরে সময়কে বলা হয় রেপিট আই মুভমেন্ট। করে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে ।

যখন শিশুর বয়স পাঁচ থেকে ছয় মাস হয় তখন শিশু রাতে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমায় অর্থাৎ 10 থেকে 12 ঘন্টা ঘুমায় ঘণ্টা। এরমধ্যে খুব কম শিশু হইয়া আছে এ রাত জেগে থাকে। আরে ঘুমের মধ্যে শিশু রাতে উঠে এ দুধ পান করার জন্য আবার বাথরুম প্রসাব করলে কাপড় বদলানোর জন্য ওঠে। পরিষ্কার করাহয়ে গেলে শিশু মায়ের দুধ পান করে আবার সাময়িকভাবে ঘুমিয়ে পড়ে।

ঘুমের অভ্যাস তৈরি করার জন্য মায়ের করনীয়:

শিশুকে ঘুমানোর জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। শিশুকে রাত ও দিনের পার্থক্য শিখাতে হবে। শিশুর ক্লান্ত হওয়ার লক্ষণ গুলো চিহ্নিত করতে হবে। শিশুর সুনিদৃষ্ট ঘুমের রুটিন তৈরি করতে হবে। যখন শিশুর ঘুম ঘুম ভাব আসে তখন শিশুকে বিছানায় শুইয়ে দিতে হবে। শিশুর ঘুম আসলে শিশুকে দোলনা বা কোলো ঘুমানোর অভ্যাস করা যাবে না। শিশুর প্রতি যত্নশীল হতে হবে। শিশুর ঘুমের প্রতি সঠিক ব্যবস্থা করতে হবে কারন ঘুম প্রয়োজনীয় শিশুর জন্য। শিশুর ঘুমের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে মায়ের সর্বদা।

সর্বশেষ বলতে চাচ্ছি আপনাদের উদ্দেশ্যে, এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।আমরা চেষ্টা করছি আপনাদের জানানোর জন্য বাচ্চার ঘুমের জন্য কি করনীয় আশা করিএই কাজগুলো করে আপনারা আপনাদের সন্তানের প্রতি আরো বেশি দায়িত্বশীল হবেন।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *