দিবস

পহেলা বৈশাখ – তারিখ, ইতিহাস, শুভেচ্ছা বার্তা, ছবি

পহেলা বৈশাখ পৃথিবীর সব বাঙালির কাছে একটি উৎসব মুখর দিন। পহেলা বৈশাখ অর্থ হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। অর্থাৎ বাংলা সনের প্রথম দিন হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বিশ্বের প্রত্যেকটি বাঙালি উৎসবমুখর ভাবে নানান আলোচনার মধ্য দিয়ে পালন করে। এদিন বাঙালিরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই নিজেকে বাঙালী হিসেবে পরিচয় দেয়।পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাঙালি মেয়েরা নানান রংবে রঙ্গের শাড়ি পড়ে ছেলেরা পড়ে পায়জামা-পাঞ্জাবি। এদিন বাঙ্গালীদের খাদ্যাভ্যাসেও যুক্ত হয় বাঙালিয়ানা খাবার যেমন: পান্তা, ইলিশ, শুটকি ভর্তা ইত্যাদি।এই আর্টিকেলে আমরা পহেলা বৈশাখের বিস্তারিত জানব।

পহেলা বৈশাখ কবে? 

 বসন্তের ছোঁয়া গায়ে লাগার সাথে সাথে পহেলা বৈশাখ আমাদের দরজায় এসে হাজির হয়েছে।   বসন্তের কোকিল ডাকতে শুরু করার সাথে সাথে শুভ নববর্ষের বার্তা আমাদের কানে এসে পৌঁছেছে।  আপনারা জানেন যে প্রতি বছর ১৪  এপ্রিল পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয়।  ইংরেজি এবং বাংলা ক্যালেন্ডারের সামঞ্জস্য থেকে ২০২২ সালের বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস বলতে গেলে সর্বপ্রথম বাংলা সনের ইতিহাস সম্পর্কে জানা দরকার।বাংলা সনের ইতিহাস এখনো সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি।তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও পান্ডিত্যের মনে করেন মোগল সম্রাট আকবর চন্দ্র হিজরি সনের সঙ্গে ভারতবর্ষের সৌর সনের সমন্বয় সাধন করে ১৫৫৬ সাল বা ৯৯২ হিজরীতে বাংলা সন চালু করেন। আধুনিক গবেষকদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন মহামতি আকবর সর্বভারতীয় যে ইলাহি সন প্রবর্তন করেছিলেন তার ভিত্তিতেই বাংলায় আকবরের কোন প্রতিনিধি বা মুসলমান সুলতান বা নবাব বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। সেজন্যই একে সন বা সাল বলে উল্লেখ করা হয়। সন কথাটি আরবি আর সাল হলো ফারসি । এখনো সন সালেই ব্যাপকভাবে চালু। তবে বঙ্গাব্দ বলেও কেউ কেউ বলেন।

পহেলা বৈশাখের পোশাকের বৈচিত্রতা

পহেলা বৈশাখে বাঙালি ছেলেরা বাঙালিয়ানা পোশাক পরতে ভালবাসো। এদিন প্রত্যেকটা বাঙালি ছেলের লাল পাঞ্জাবির সাথে সাদা প্যান্ট কখনো কখনো তারা গামছা গলায় রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। মেয়েরা পরে লাল শাড়ির সাথে বিভিন্ন কালার কম্বিনেশন শাড়ি ব্লাউজ। সাথে মেয়েদের খোপা শোভা পায় বিভিন্ন ফুল। সব মিলে বাংলার আকাশে-বাতাসে সেদিন আনন্দের সুর বাজে।

পহেলা বৈশাখের খাবার

পহেলা বৈশাখের জন্য বাঙালি বাঙালিয়ানা খাবার খেতে পছন্দ করে। এদিন অনেকেই বাড়িতে তৈরি পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ খেতে ভালোবাসে। অনেকেই বিভিন্ন রকম শাক ও সবজি নিজের খাবার মেনুতে যুক্ত করে। অনেকে তাদের বন্ধু-বান্ধবদের তাদের মিষ্টিমুখ করে পহেলা বৈশাখের আনন্দ ভাগাভাগি করে। পহেলা বৈশাখের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে ইলিশ মাছ। পহেলা বৈশাখে পান্তা দিয়ে ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে।

পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা বার্তা

এসো হে বৈশাখ এসো এসো যাবতীয় যারা ভিন্নতা ও ক্লান্তি কাটিয়ে নতুন বছরে পা। পুরাতন সকল ক্লান্তি ভুলে গিয়ে নতুন কে বরণ করার উৎসবে মেতে ওঠে বাঙালিরা। শুধু বাঙালীর নয় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এই দিনে বিশেষ বিশেষ উৎসব পালন করে থাকে। এইসব উৎসবকে কেন্দ্র করে নিজের বন্ধু বান্ধব প্রিয়জনকে সবাই শুভেচ্ছাবার্তা জানায়। এই নিবন্ধে পহেলা বৈশাখের কিছু শুভেচ্ছাবার্তা সংযুক্ত করলাম।

পহেলা বৈশাখের এসএমএস

পহেলা বৈশাখ সব ধরনের মানুষ  উদযাপন করে থাকে। এদিন প্রেমিক-প্রেমিকারা পহেলা বৈশাখের এসএমএস দিয়ে একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছাবার্তা জানায়। এছাড়াও পহেলা বৈশাখে মানুষ বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন কে এসএমএস এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে।আপনি যদি পহেলা বৈশাখের এসএমএস এর সন্ধান করে থাকেন তাহলে আমি এখানে কিছু এসএমএস সংযুক্ত করলাম । এই এসএমএস গুলো দিয়ে আপনি আমার আপনার প্রিয় জন ও বন্ধুবান্ধবকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।

পহেলা বৈশাখের ছবি

পহেলা বৈশাখে নিজের বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনকে ছবির মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো অনেকটা ট্রেডিশন হয়ে গেছে। আর ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো বর্তমানে সবচেয়ে সহজ এবং অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। তাই অনেকেই পহেলা বৈশাখের ছবি ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করেন। এজন্য আমি কিছু পহেলা বৈশাখের ছবি সংযুক্ত করলাম।

অবশেষে, পহেলা বৈশাখের এই দিনটি আপনি আপনার প্রয়োজনের সাথে অত্যন্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করুন। এছাড়াও আপনি পহেলা বৈশাখের অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে জানতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি সঙ্গে থাকুন। শুভ নববর্ষ

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *